পাহাড় চূড়ায় অবস্থিত মন্দিরে পূজিত হন অষ্টভূজা দেবী দুর্গা

12th October 2020 9:36 am বাঁকুড়া
পাহাড় চূড়ায় অবস্থিত মন্দিরে পূজিত হন অষ্টভূজা দেবী দুর্গা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  বাঁকুড়ার শহর থেকে ১৪ থেকে ১৫  কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মা অষ্টভূজা দুর্গার দেবী পার্বতীর মন্দির। আর এই মন্দির অবস্থিত পাহাড়ের উপর সেই পাহাড়ের নাম কড়োর পাহাড়। পাহাড়ের ১৫২ টি সিঁঁড়ি পায়ে হেঁটে উঠতে হয় মায়ের মন্দির। মায়ের মন্দিরের উপর থেকে চারিদিকে সুন্দর পরিবেশ উপভোগ করা যায় পাহাড়ের উপরে থেকে যতদূর চোখ যায় ততদূরই সবুজে ভরা। এই মায়ের আবহান আছে কিন্তু বিসর্জন নেই। পুজোর সময় চারদিন নিয়ম নীতি মেনে চলে মায়ের পুজো। তবে এখানে একটা বিশেষত্ব আছে ঝাঁজ ঘন্টা বাজিয়ে মায়ের পুজো হয় বাজে না কোন ঢাক ঢোল । আর একটি বিশেষত প্রসাদে যতই ফলমূল মিষ্টান্ন দেওয়া হোক না কেন কিন্তু মুড়ি আর বেগুনি প্রতিদিন মূল প্রসাদ হিসাবে থাকবেই থাকবে। তাছাড়া কথায় আছে না রথ দেখা আর কলা বেচা ঠিক তেমনটাই এখানে পুজোর চুপচাপ চার দিন কাটাতে হলে আসতে পারেন এই পাহাড়ের কোলে আর পাহাড় থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত গাংদুয়ার ড্যাম  এটি একটি পর্যটন কেন্দ্র এখানে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য রয়েছে পার্কের ব্যবস্থা ও তাছাড়া নৌকাবিহার করার সুযোগ এই ড্যাম পের পারে বসে বিকেলবেলায় সূর্যাস্ত দেখার সৌভাগ্য এবং এই জলরাশি সূর্যাস্তের সময় সূর্যের রংয়ে পড়ন্ত বিকেলে লাল হয়ে ওঠে এই আনন্দ নিতে হলে আসতেই হবে এখানে এখানে থাকার জন্য মায়ের মন্দিরে সুবন্দোবস্ত রয়েছে তাছাড়াও ড্যাম পে র কাছে গেস্ট হাউস সেখানেও  থাকা যেতে পারে ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।